,

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব স্মরণিকা ২০১৯’র প্রকাশনা উৎসব ও পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব স্মরণিকা ২০১৯ এর প্রকাশনা উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সেরা প্রতিবেদক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এড. মোঃ আবু জাহির। বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এড. মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক সভাপতি এড. সফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও সেরা প্রতিবেদক বাছাই কমিটির আহ্বায়ক এড. রুহুল হাসান শরীফ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও স্মরণিকা সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিজ, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাবান মিয়া, সাবেক সভাপতি ও সেরা প্রতিবেদক বাছাই কমিটির সদস্য শোয়েব চৌধুরী, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টচার্য্য রিংকু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ ফখরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রাসেল চৌধুরী, বাদল রায় প্রমূখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি এড. আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জ একটি সমৃদ্ধির জেলা। এখান থেকে গ্যাসের উৎপাদন হয়। এ জেলায় অসংখ্য শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম ২টি কোম্পানীর বর্জ্য এলাকার নদী ও খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি দূষণ করছে। যারাই নদীর পানি দুষিত করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংবাদিকদের কলমের দ্বারা হবিগঞ্জের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে হবে। তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে যাবো। তিনি হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সিলেট বিভাগে হবিগঞ্জেই প্রথম প্রেসক্লাব ভবন প্রতিষ্ঠা হয়। এটি সবচেয়ে সুন্দরও। এরকম প্রেসক্লাব ভবন বিভাগে আর একটিও নেই। শুধু তাই নয়, এটিই বিভাগের একমাত্র ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব। এখানে কোন হিংসা-বিদ্বেষ নাই। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এমপি আবু জাহির আরও বলেন, সাংবাদিকদের কাজের পাশাপাশি খেলাধূলা ও বিনোদনেরও প্রয়োজন রয়েছে। এতে মন ও শরীর প্রফুল্ল থাকে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ বছর স্মরণিকা প্রকাশ, খেলাধূলা ও সেরা সাংবাদিকদের পুরস্কার দেয়ায় তিনি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রেসক্লাবের স্মরণিকার মোড়ক উন্মেচন করেন। পরে তিনি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সেরা প্রতিবেদকদের হাতে সার্টিফিকেট ও আর্থিক সম্মানী তুলে দেন। অনুষ্ঠানে টেলিভিশন, জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, অনলাইন এবং স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্র চার ক্যাটাগরিতে মোট ১৪ সাংবাদিককে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়। টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হন যমুনা টিভির হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রদীপ দাশ সাগর, দ্বিতীয় হন চ্যানেল ২৪ এর রাসেল চৌধুরী, তৃতীয় হন যৌথভাবে ৭১ টেলিভিশনের শাকিল চৌধুরী ও জয়যাত্রা টিভির সনি চৌধুরী, বিশেষ পুরস্কার পান এসএ টিভির আব্দুর রউফ সেলিম। জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রথম হন আলোকিত বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি মো. মামুন চৌধুরী, দ্বিতীয় হন কালের কণ্ঠের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আলমগীর মিয়া, তৃতীয় হন যৌথভাবে কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান এবং দৈনিক মানবজমিনের রাশেদ আহমদ খান। স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রথম হন দৈনিক প্রভাকরের শোয়েব চৌধুরী, দ্বিতীয় হন দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার লাখাই প্রতিনিধি নিতেশ দেব ও তৃতীয় হন দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এস এম সুরুজ আলী। অনলাইনে প্রথম হন বাংলানিউজের বদরুল আলম, দ্বিতীয় হন বাংলা ট্রিবিউনের মোহাম্মদ নূর উদ্দিন।


     এই বিভাগের আরো খবর